ধন গোপাল মুখোপাধ্যায়
ধন গোপাল মুখোপাধ্যায় | |
---|---|
ধন গোপাল মুখোপাধ্যায় | |
![]() ১৯১৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ধন গোপাল মুখোপাধ্যায় | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৪ জুলাই ১৯৩৬ নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৪৬)
মৃত্যুর কারণ | আত্মহত্যা |
স্বাক্ষর | |
![]() |
ধন গোপাল মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ৬ জুলাই, ১৮৯০ – মৃত্যু: ১৪ জুলাই, ১৯৩৬) তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী এবং ১৯২৮ সালে নিউবেরি পদক বিজয়ী ছিলেন।<ref name=":0">Gandhi, Lakshmi (২০১৭-০৬-১৭)। "Remembering the first Indian-American children's book to win a Newbery"। NBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪।</ref> তিনি ডাফ স্কুল (বর্তমানে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ডাফ কলেজ, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
জীবনী[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
ভারতবর্ষে প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
১৮৯০ সালে ৬ই জুলাই, কলকাতার শহরের নিকটবর্তী কাজঙ্গল নামক একটি জঙ্গলের ধারে একটি গ্রামে ধন গোপাল মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন আইনজীবী যিনি তাঁর অসুস্থ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর অনুশীলন বন্ধ করেছিলেন এবং সংগীত অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন ও গ্রামের একটি মন্দিরে পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করতেন। ধন গোপাল মুখোপাধ্যায় তাঁর শৈশবকাল এবং কৈশোরের দিনগুলি কেমন ছিল তা তিনি তাঁর আত্মজীবনী "কাস্ট অ্যান্ড আউটকাস্ট" (১৯২৩)<ref>""The Life and Death of Dhan Gopal Mukerji," a biographical study in the republication of Dhan Gopal Mukerji"। Department of History, Stanford University (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-০৩-০১। ২০১৭-১২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪।</ref> এর প্রথম অংশ ('বর্ণ') তে কিভাবে পূর্বপুরুষদের নিয়ম অনুযায়ী ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলেদের কঠোর রীতি ছিল এক বছরের জন্য সন্ন্যাসী জীবন পালন করা এবং তিনি তাঁর তপস্বী হওয়া অভিজ্ঞতার বিবরণের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথাগত হিন্দু সমাজের ভূমিকা, তাঁদের পিছিয়ে পরা ধারণা এবং কঠোর নিয়মের জাল কেটে তিনি সন্ন্যাসী জীবন ত্যাগ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর ভাই যদু গোপাল মুখোপাধ্যায়ের বন্ধুদের বৃত্তে তিনি বঙ্গ প্রতিরোধের ধারণার সংস্পর্শে এসেছিলেন। পরে যদু গোপাল বিনা বিচারে ১৯২৩ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত জেলে বন্দি ছিলেন। পরে ধন গোপাল "আমার ভাইয়ের মুখমণ্ডল" শিরোনামে যদু গোপাল সম্পর্কে একটি স্মৃতিকথা লিখেছিলেন।
জাপানে কয়েকদিন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
১৯১০ সালে, ছোট ভাইকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর আসাতে ধন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের পরিবার তাঁকে শিল্প যন্ত্রপাতি বিষয়ে পড়ার জন্য জাপানে পাঠিয়েছিল। যদিও তিনি প্রথমে শিল্পায়নের ইতিবাচক মনোভাবের প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলেন, পরে পরবর্তীকালে তিনি সংসদীয় লাইন পদ্ধতিতে উৎপাদন ও প্রবণতার নিখুঁত দক্ষতার প্রতি গভীর বিমোহিত হয়ে পড়েছিলেন, যাকে তিনি অমানবিক, অবক্ষয়ী ও অবজ্ঞা হিসাবে দেখেছিলেন। তিনি বিশেষত হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে কীভাবে গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার অ্যাসেম্বলি লাইনের কর্মীরা তাদের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সুবিধাসমূহ বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের জন্য কারখানার মালিক বা নিয়োগকর্তারা বিবেচনা না করে দ্রুত অন্য শ্রমিকদের দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। জাপানে কিছুক্ষণ থাকার পর তিনি সান ফ্রান্সিসকোতে উদ্দাশে একটি জাহাজে করে রওনা দিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
- স্বাক্ষরের সাথে জীবনী
- এইচকার্ডের সাথে নিবন্ধসমূহ
- উদ্ধৃতি শৈলীতে ইংরেজি ভাষার উৎস (en)
- উদ্ধৃতি শৈলী: জুলীয়–জর্জীয় অনিশ্চয়তা
- ১৮৯০-এ জন্ম
- ১৯৩৬-এ মৃত্যু
- ভারতীয় ব্যক্তি
- বাঙালি লেখক
- ভারতীয় শিশু সাহিত্যিক
- স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পশ্চিমবঙ্গের ঔপন্যাসিক
- ভারতীয় ঔপন্যাসিক
- স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাঙালি হিন্দু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন ঔপন্যাসিক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় ঔপন্যাসিক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন লেখক