ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী
ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী | |
---|---|
চিত্র:ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী.jpg | |
জন্ম | ১৯৩১ ময়মনসিংহ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১ মার্চ ২০১৯, ৮৭ বছর কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
পেশা | অধ্যাপক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা | পিএইচডি (ইংরেজি সাহিত্য) |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
|
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | আনন্দ পুরস্কার |
সন্তান | ১ টি (ছেলে) |
ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী (সেপ্টেম্বর ১৯৩১ – মার্চ ১, ২০১৯) ভারতীয় লেখক ও হস্তী বিশারদ। ২০০৭ সালে হাতির বই লেখার জন্য আনন্দ পুরস্কার পান। তিনি কেমব্রিজের অভিজাত ক্লেয়ার হল কলেজের আজীবন সদস্য ছিলেন।<ref>"প্রয়াত ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী"। Eisamay। ২০১৯-০৩-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।</ref> ২০১৯ সালের ১ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রথম জীবন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহের কালীপুর গ্রামে ১৯৩১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ধীরেন্দ্র কান্ত লাহিড়ী চৌধুরী বাংলাদেশের ময়মনসিংয়ের অভিজাত ব্যক্তি ছিলেন। তার মাতার নাম রেনুকা দেবী। দেশ ভাগের পর তারা সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজির স্নাতক হন ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। এরপরে ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।<ref>"Elephant expert Dhriti Kanta dies at 87 - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।</ref>
কর্মজীবন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
অধ্যাপনার ফাঁকেই অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং উত্তরপ্রদেশ, ওডিশা, উত্তরাঞ্চল প্রভৃতি রাজ্যের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। হাতি নিয়ে তার একাধিক বই দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। হাতি বিশেষজ্ঞ হিসাবে তিনি ছিলেন ভারত সরকারের ‘প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট’ এবং ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অফ নেচার-এর সদস্য। তিনি ১৯৭৭ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার-এর হস্তি বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য এবং ১৯৭৮ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ভারত সরকারের হস্তি প্রকল্প চালু হওয়ার আগে তার রূপরেখা নির্ধারণের জন্য নিযুক্ত টাস্ক ফোর্সেরও সদস্য ছিলেন ।<ref>"হাতিদের মন বুঝতেন তিনি, চলে গেলেন ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী"। TheWall (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।</ref>
সাহিত্যচর্চা[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
তার সাহিত্যচর্চাও জঙ্গল জীবনকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল। তার প্রকাশিত হাতি বিষয়ক বই গুলি হলো<ref>সংবাদদাতা, নিজস্ব। "প্রিয় হাতিদের ছেড়ে চলে গেলেন ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী"। anandabazar.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।</ref>
- হাতি ও বনজঙ্গলের কথা
- হাতির বই<ref>ঘোষ, সব্যসাচী। "শিকারি থেকে হন হাতি বিশারদ"। anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।</ref>
- বৈঠকী
- জঙ্গলগাথা ও রসনাবিলাস
- জীবনের ইন্দ্রধনু
- আ ট্রাঙ্ক ফুল অব টেলস<ref>"The elephant warriors"। livemint.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-১০-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।</ref>
- দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান এলিফ্যান্ট বুক<ref>"Dhriti Kanta Lahiri Choudhury Books - Biography and List of Works - Author of 'The Great Indian Elephant Book'"। www.biblio.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]</ref> ইত্যাদি।
এছাড়াও তার অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ও সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে । হাতির বই -এর জন্য ২০০৭ সালে তিনি আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন।